পীরগঞ্জে লাচ্ছি নদীর নাব্যতা দেখে ড্রেনের দেঁতো হাসি!
সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ,(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের নৈসর্গিক বৈচিত্র্যে ভরা পীরগঞ্জ উপজেলার পৌরশহর; যার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে লাচ্ছি নদী ( পীরগঞ্জের ভলটাভা)।
শহরের বুকে বয়ে চলা লাচ্ছি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার, প্রস্থ ১০ মিটার,গভীরতা ২.৫ মিটার এবং এর অববাহিকার আয়তন ৫০ বর্গকিলোমিটার ।
এই নদীর উৎস পীরগঞ্জ উপজেলার কাচনা বিল এবং নদীটি উৎস হতে পতিত হয়েছে টাঙ্গন নদীতে।
নদীটির প্রবাহ মৌসুমি প্রকৃতির। মার্চ-এপ্রিল মাসে প্রবাহ একেবারে থাকেই না। আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ প্রবাহ থাকে। তখন নদীতে পানির পরিমাণ হয় ২ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
তবে নদীর উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য এখন প্রায় উবে গেছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ন, যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ সহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতির কারণে ।
শহরের যাবতীয় প্লাস্টিকের বর্জ্য বিভিন্ন মাধ্যম হতে লাচ্ছি নদীতে এসে পড়ে। এর ফলশ্রুতিতে, নদীর পানি ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’ দূষণে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি তার স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। লাচ্ছি নদীর প্রশস্থতা সংকুচিত হয়েছে এবং হচ্ছে যার কারণ ভূমি ক্ষয়,
নদী ভাঙ্গন, নদী আকাবাঁকা ফোকর ভরাট, শহরের নিষ্কাশন অযোগ্য ও পলিমার বর্জ্য যা জমাট বেঁধে নদীতে একটি দূষিত স্তর তৈরি করে।
নদীটির বিষয়ে জানতে চাইলে রিভারাইন পিপল’র পরিচালক তুহিন ওয়াদুদ বলেন,” অপরিকল্পিত নগরায়ন ও অব্যবস্থাপনার কারণে অপরাপর নদীর ন্যায় লাচ্ছি নদীও সংকটাপন্ন, লাচ্ছি নদীকে বাঁচাতে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া অতীব জরুরী।
পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো.বদরুল হুদা বলেন,” জলবায়ু পরিবর্তন,মৌসুমি বৃষ্টিপাতের হার কমে যাওয়া, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ও মানবসৃষ্ট দূষণের কারণে লাচ্ছি নদী তার নাব্যতা হারিয়েছে। “