মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় মোঃ নাজমুল হক ইমন
মোঃ সুলতান মারজান (হৃদয়),স্টাফ রিপোর্টার:-রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে তরুণ, সাহসী ও ত্যাগী নেতা মোঃ নাজমুল হক ইমন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন।
মোঃ নাজমুল হক ইমন শুধু একজন রাজনীতিবিদই নন, তিনি একজন নির্যাতিত ও মজলুম নেতা, যিনি রাজনৈতিক কারণে বহুবার কারাবরণ করেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয় এবং বর্তমানে তিনি নিজেকে একজন সংগ্রামী ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে ইমনের নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং মাঠপর্যায়ে তাঁর সরব উপস্থিতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে তাঁকে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আওয়ামী লীগের নজরেও বারবার তাঁর নাম উঠে এসেছে সরকারি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ বিএনপি কর্মী-সমর্থক মোঃ নাজমুল হক ইমনকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চান। তাঁদের মতে, দলকে সুসংগঠিত করতে এবং মাঠপর্যায়ে সক্রিয় রাখতে মোঃ নাজমুল হক ইমনের মতো সাহসী ও নিবেদিত নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি।
উপজেলার একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী জানান, “মিঠাপুকুরে ইমনের মতো নেতা খুব কম আছে। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেলে সংগঠন আরও গতিশীল হবে। তিনি আওয়ামী লীগের ভয়ঙ্কর দমন-পীড়নের মুখেও পিছু হটেননি, বরং আরও শক্তভাবে দাঁড়িয়েছেন।”
স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, দলের হাইকমান্ড মোঃ নাজমুল হক ইমনের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তাঁর প্রতি আশাবাদী। সম্ভাবনা রয়েছে, আগামী উপজেলা কমিটিতে নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।
তৃণমূলের নেতা হিসেবে মোঃ নাজমুল হক ইমন এখন শুধুই একটি নাম নন, বরং মিঠাপুকুর বিএনপির ভবিষ্যতের প্রতীক। রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও সাহসিকতা দিয়ে যে নেতা নিজেকে প্রমাণ করেছেন, দলীয় নেতৃত্বের এই পালাবদলে মিঠাপুরের বিএনপি পরিবার এমন সাহসী নেতৃত্বকেই প্রত্যাশা করছে।