তারাগঞ্জে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি: প্রতিবেদন করায় সাংবাদিককে হুমকি ও হেনস্তা
স্টাফ রিপোর্টার:রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গত কয়েক মাস আগে একটি জাতীয় স্যাটেলাইট টেলিভিশনে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি।
প্রতিবেদনটি প্রচারিত হওয়ার পর তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানার নেতৃত্বে একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে অভিযানের কয়েক মাস পার হলেও অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো কাগজপত্রবিহীনভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন চ্যানেল এস-এর তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নাজিম ইসলাম। জানা যায়, গত রবিবার বিকেলে তিনি আশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক আজহার শেখের কাছে অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কিনা এবং যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা জানতে চাওয়ায় চ্যানেল এসের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নাজিম ইসলামকে হুমকিদেন ও হেনস্তা করেন।এ ঘটনায় আজহারের আচরণ নিয়ে তারাগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক আজহার শেখের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, সাংবাদিক হেনস্তার বিষয়টি জানতে পেরেছি এটি খুবই দুঃখজনক ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা যাচাই বাছাই করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।