তারাগঞ্জে নতুন ওসি ফারুক যোগদানের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ উঠেছে সচেতন মহলে
আব্দুল্লাহিল মতিন (শাহীন), বিশেষ প্রতিনিধি : রংপুরের তারাগঞ্জ থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ ফারুক যোগদানের পর থেকে উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বাড়ছে।
গত ২৯ মে উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নে এক সার ব্যবসায়ীর বাড়িতে সংঘটিত হয় দুঃসাহসিক ডাকাতি। সশস্ত্র ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ অর্থ ও প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
ডাকাতিরে এ ঘটনায় তারাগঞ্জের পুলিশ এখনো কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।
এ ছাড়া, দিনে-দুপুরে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, প্রকাশ্যে চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
একের পর এক এমন ঘটনার মধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, পুলিশের চোখের সামনে এসব মাদক ব্যবসা চললেও পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোনো দৃশ্যমান অভিযান দেখা যাচ্ছে না।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক কারবারিকে জেল ও জরিমানা করছেন।
অন্যদিকে, গত ১ জুন উপজেলার ঘনিরামপুর পেট্রোল পাম্পের কাছে একটি মোটরসাইকেলসহ ৮০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হলেও অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, উপজেলায় গোপনে ক্যাসিনো-স্টাইলের জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে তরুণ সমাজ বিপথগামী হচ্ছে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এ ছাড়া, আলমপুর ইউনিয়নে সরকারি খাদ্যগুদামের জানালা ভেঙে চাল চুরির চেষ্টা করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সচেতন মহলের দাবি, নতুন ওসির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে এবং পুলিশের নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তারা অবিলম্বে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।