মিঠাপুকুরের বড়হযরতপুর ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ
মোঃ সুলতান মারজান (হৃদয়),স্টাফ রিপোর্টার:-মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কর্তৃক অনুমোদিত ১৫নং বড়হযরতপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছেন ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সক্রিয় ও ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মীরা।
অভিযোগে রয়েছে নবগঠিত কমিটিতে দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এবং উপজেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে আগামী উপজেলা কাউন্সিলে জেতানোর উদ্দেশ্যে নয়টি ওয়ার্ডের প্রকৃত ও ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মী এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পরীক্ষিত কর্মীদের বাদ দিয়েছেন। এর পরিবর্তে তারা তাদের আপন ভাই, ছেলে, চাচা, ভাতিজা, ভগ্নিপতি, ভাগিনা, শ্যালক, ভায়রা ভাই, ভাতিজা বউ, জমির বর্গা চাষী এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের পাশাপাশি নিজেদের মনগড়া ও আওয়ামীপন্থী (ফুটেজধারী) লোকজনকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এমনকি উপজেলা আহ্বায়কেরও কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারীরা আরও উল্লেখ করেছেন যে, এই আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই বিগত ১৭ বছরে বিএনপি’র কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত ছিলেন না। এছাড়াও অনুমোদিত কমিটিতে এমন একজন ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে (সহ-সভাপতি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যিনি সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কমিটির বাকি গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ অন্যান্য পদেও তাদের নিকটাত্মীয়দেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এই “মনগড়া পকেট কমিটি” বহাল থাকলে ইউনিয়নের বিএনপি’র কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তারা অবিলম্বে এই কমিটি সংশোধন করে একটি সংশোধিত কমিটি অনুমোদনের জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে গত ২৯ মে রাতে সেরুডাঙ্গা বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করে অত্র ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৫নং বড়হযরতপুর ইউনিয়নের ০৯টি ওয়ার্ডের বিএনপি’র সকল সক্রিয় ত্যাগী নেতা কর্মীবৃন্দ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বড় হযরতপুর ইউনিয়নের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু বলেন, আমরা এই পটেক কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হোক।
বড় হযরতপুর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লালমিয়া বলেন, স্বজনপ্রীতির এই কমিটি অতি দ্রুত বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে। নাহলে এই ইউনিয়নে বিএনপির সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হবে।