বাজুসের সহ-সভাপতি নামে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা এবং মুক্তির দাবি তে ঝিনাইদহে সকল জুয়েলারি দোকান বন্ধ

সৌভিক পোদ্দার, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলায় গ্রেফতার করাই সারা বাংলাদেশের জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুরান ঢাকার তাতিবাজার এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রিপনুল হাসানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে।

ঝিনাইদহ জেলার জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবু সাধণ সরকার বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা রিপনুল হাসান কে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরই প্রতিবাদে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আজকে আমাদের ঝিনাইদহ জেলার জুয়েলারী সমিতি (বাজুস) এর পক্ষ থেকে আমরা ধর্মঘট পালন করছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই জুয়েলার্স প্রতিষ্টান অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। সারা বাংলাদেশের ৫০ হাজারেরও বেশি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আছে এবং আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লক্ষেরও বেশি কর্মজীবী মানুষ আছে। একজন ক্লিন ইমেজের নেতা এবং তিনি বাংলাদেশ জুয়েলারী অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য। অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তির দাবি জানাই।

ঝিনাইদহ জেলা জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বাবু পঞ্চরের চন্দ্র পোদ্দার বলেন,আজকে আমরা দোকান বন্ধ রেখে রাজপথে নেমেছি এর মূল কারণ আমাদের নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান তিনি সারা বাংলাদেশ জুড়ে এই জুয়েলারি এসোসিয়েশন জন্য পরিশ্রম করেছেন এই সংগঠন টা কে শক্তিশালী করছেন ৬৪টা জেলা তে। আমাদের বাজুস শাখার অফিস আছে এবং শিল্প উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। তিনি আরো জানান আমাদের নেতা পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতা। তার নামে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার পক্ষ থেকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় সহ ঝিনাইদহ জেলার সকল জুয়েলারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিক তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন