“বুর্জোয়া শাসনব্যবস্থার সংকটের সময়ই সাধারণত ডান-বাম নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতা-গোষ্ঠী-দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে থাকে। তাই এই সংকটের পর্বই হচ্ছে জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত করার অর্থাৎ গণতন্ত্র ও প্রগতির মুখোশধারী দেউলিয়া রাজনীতিকদের চিনিয়ে দেবার মোক্ষম মুহূর্ত।আজ বাংলাদেশে আমরা সেরকম এক পরিস্থিতি -র মধ্যেই আছি।বিপ্লবীরা জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করার এই ঐতিহাসিক সুযোগের সদ্ব্যবহার করবেন বলে আশা করা যায়।”
প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসের সরকার গতকাল দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসমূহের নেতাদের সংকট মোকাবিলা করা নিয়ে আলোচনা করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।সেখানে লক্ষনীয়ভাবে দেখা গেছে দেশের যেসকল রাজনৈতিক দলসমূহের পক্ষ থেকে দেশের স্বার্থ বিরোধী রাখাইন করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন তাদের কিন্তু আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিশেষ করে বামপন্থী ও প্রগতিশীল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহের নেতারা সবাই আমন্ত্রণ পাননি। তাহলে কি ধারণা করা যায় যেসকল রাজনৈতিক দলসমূহের নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে সরকারকে সহায়তা করবে তাদেরকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও উপদেষ্টাদের সাথে আলোচনা শেষে নেতাদের কেউ কেউ বলছেন সরকার ভারতীয় আধিপত্যবাদকে হুমকি মনে করছেন তারা তাদের দলের পক্ষ ভারতীয় আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় সরকারের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।কিন্তু সরকারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় রাখাইন করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার বিষয় কোন আলাপ আলোচনা করেছেন কিনা সে বিষয় কোন কিছু উল্লেখ করেন নি।।
এখানে উল্লেখ্য গতকাল সরকারের রাজনৈতিক দলসমূহের নেতাদের আমন্ত্রণে সিপিবি বাসদ সহ বামগনতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বামমোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ গনফোরামসহ যেসকল রাজনৈতিক দলসমূহের পক্ষ থেকে রাখাইন করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে দেশের স্বার্থ বিরোধী বিবেচনায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন তাদের দলের নেতাদের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বাসদকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে তাদের দলের উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি দলগতভাবে বাসদ ও বামগনতান্ত্রিক জোট কে আমন্ত্রণ না দেওয়ায় আলোচনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।।যদিও সিপিবির সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।।