বদরগঞ্জে ৬ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত সহকারী শিক্ষক শাহনেওয়াজ: আছে নানা বিতর্ক
স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার চম্পাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনেওয়াজ আলী প্রায় ছয় মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাধিকবার চিঠি ও ফোন করেও তাকে ক্লাসে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ।
সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শাহনেওয়াজ আলী আত্মগোপনে চলে যান। পরে দৈনিক আমার দেশ
পত্রিকা ও এশিয়ান টিভি রংপুর ব্যুরো প্রধান বাদশা ওসমানীর দায়ের করা মামলসয় তিনি গ্রেফতার হন এবং এরপর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর দীর্ঘ ছয় মাস পার হলেও তিনি বিদ্যালয়ে আর ফিরে আসেননি।
এ বিষয়ে চম্পাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “তাকে বিদ্যালয়ে ফিরে আসার জন্য একাধিকবার চিঠি ও ফোন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হয়েছে, আমরা বৈঠকে বসে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাহনেওয়াজ নিয়মিত স্কুলে না এলেও হাজিরা খাতায় তাকে উপস্থিত দেখানো হতো। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক জানান, শাহনেওয়াজ আলী আওয়ামী লীগের স্থানীয় শাখার সভাপতি ছিলেন এবং তৎকালীন এমপি ও পৌর মেয়রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি আরও বলেন, “তার বিরুদ্ধে জমি দখল, মারধর এবং নারী কেলেঙ্কারির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।”
চেয়ারম্যান আরও জানান, শাহনেওয়াজ একরামুল হক দুলু নামক একজনের জমি জোরপূর্বক দখল করেছিলেন এবং সম্প্রতি তার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এইচ মাহবুবুল ইসলাম জানান, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি। লিখিতভাবে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে শাহনেওয়াজ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।