1. dailyshammerbarta@gmail.com : দৈনিক সাম্যের বার্তা : দৈনিক সাম্যের বার্তা
  2. info@www.dailyshammerbarta.online : দৈনিক সাম্যের বার্তা :
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুই ইরানি দম্পতিকে মারধর ও ছিনতাই, সেনাবাহিনী কর্তৃক দ্রুত উদ্ধার ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পীরগঞ্জে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান: জনদুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস ঝিনাইদহে ফিলিপাইন থেকে পরিচালিত অনলাইন জুয়ার সাইটের বাংলাদেশী এজেন্ট গ্রেফতার ঝিনাইদহে প্রতিবেশীর সাথে পরকীয়া জেরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা মিঠাপুকুরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ মিঠাপুকুরে ১৬ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ মিঠাপুকুরে পার্টনার কংগ্রেস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মিঠাপুকুরে মসজিদের জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ চারটি মিল, চরম দূষণ: তারাগঞ্জে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হুমকিতে গঙ্গাচড়ায় শিশু জিসানের হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

জাসদ থেকে বাংলাদেশ জাসদ -আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

জাসদ থেকে বাংলাদেশ জাসদ -আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ

১৯৭২ সালে জাসদ কি গতানুগতিক রাজনৈতিক দল হিসেবে জন্ম নিয়েছিল? নিশ্চয়ই না। ব্রিটিশ-পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র-সমাজ কাঠামো বদলে স্বাধীন দেশের উপযোগী ব্যবস্থা ও কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে জাসদ যাত্রা শুরু করেছিল। বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে ১৯৭২ সালের ৭ জুন সে লক্ষ্যেই কর্মসূচিই দিয়েছিলেন জাসদের জন্মদাতা তৎকালীন ছাত্র-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ ধারণ করেই জাসদ যাত্রা শুরু করে যা দেশের সবচাইতে উদীয়মান ও সংগ্রামী শ্রেণি-গোষ্ঠীকে আকর্ষিত করে। জাসদের আন্দোলন-সংগ্রামের ধরন-ধারণ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক লক্ষ্য সঠিক ছিল কি না– সেটিই হল বিবেচ্য বিষয়। সে গৌরবান্বিত জাসদকে আদর্শহীন, রাজনৈতিক লক্ষ্যবিহীন দলে কিংবা অন্য কারো গোপন ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত লক্ষ্য বাস্তবায়নের উপ-ঠিকাদার দলে পরিণত করা যাবে না।।বাংলাদেশ জাসদের গত জাতীয় কাউন্সিল সন্মেলন সেটাই প্রমাণ করেছে।

সিরাজুল আলম খানের আদর্শিক নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের প্রগতিশীল তারুণ্য যারা মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগামি অংশ ছিল, তারা শ্রেণী সংগ্রাম ও সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে অসম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধকে পূর্ণতা দানের বলিষ্ঠ ঘোষণা নিয়ে হাজির হয়েছিল। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার রূপটি চিহ্নিত করতে তারা তখন ব্যাপকভাবে চিরায়ত প্রগতিশীল সাহিত্য অধ্যয়নে মনোনিবেশ করেছে। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. আখলাকুর রহমানের “বাংলাদেশের কৃষিতে ধনতন্ত্রের বিকাশ” শীর্ষক প্রবন্ধটি রচনা করেন। এ প্রবন্ধে দেখানো হয়, কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল খাত কৃষিতে ইতোমধ্যেই পুঁজিবাদ প্রধান প্রবণতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে এবং তা সমগ্র অর্থনীতির নিয়ামক হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই তাত্ত্বিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে জাসদের নবীন নেতৃত্ব সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের আওয়াজ তোলেন। সমাজ সম্পর্কে মুখ্যত পুঁজিবাদি বিকাশের কথা বললেও এখানে বিদ্যমান সামন্ততান্ত্রিক অবশেষ সম্পর্কেও জাসদ নেতৃত্বের উপলদ্ধি ছিল। জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের অপূর্ণতার বিষয়েও তারা সচেতন ছিলেন। তাই সমাজতন্ত্রের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অপূর্ণ জাতীয় গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে পূর্ণতা দেয়ার কথা তারা বললেন। বিদেশি আধিপত্য, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির খবরদারি ও সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতিকে জাসদ নেতৃত্ব জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের অপূর্ণতার দিক হিসেবে চিহ্নিত করতেন।

রাজনৈতিক রণকৌশল হিসেবে তারা গণতান্ত্রিক জাতীয় সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে সংগ্রামে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ঘটিয়ে তার অভ্যন্তরে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের বিকাশের কথা বলা হয়। এই বিপ্লবের মাত্রা নির্ভর করবে নিপীড়িত শ্রেণী কতটুকু সংগঠিত হলো তার মাত্রার উপর। গ্রাম এবং শহরের শ্রমিক শ্রেণী ও গরিবেরা বিপ্লবের শক্তি হিসেবে কতটুকু সংগঠিত হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে জাসদ নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থানকে ক্ষমতা দখলের উপায় হিসেবে নির্ধারণ করেন। এ ক্ষেত্রে মাওসেতুং-এর প্রলম্বিত গেরিলা যুদ্ধের চৈনিক মডেল নয়, বরং বলশেভিক ধাঁচের অভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে যথার্থ বলে জাসদ মনে করেছিল।।

বর্তমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ জাসদ মনে করে সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন করতে জনগনের ঐক্য ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অপরিহার্য। আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন আন্দোলনকারী শক্তির ঐক্য,জনগনের ঐক্য,ও জাতীয় ঐক্য।। বাংলাদেশ জাসদ সমাজ পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির রাজনৈতিক ঐক্য এবং ঐক্যমোর্চা গড়ে তোলার পক্ষে।এই ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি গণ আন্দোলন এবং গন আন্দোলনের ধারায় নির্বাচন মোকাবিলা, সরকার গঠন ও সরকার পরিচালনাসহ রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রশ্ন মোকাবিলা করবে।বাংলাদেশ জাসদ শ্রমজীবী – কর্মজীবী – পেশাজীবী জনগনকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ঐক্য গড়ে তোলা এবং আন্দোলনের ঐক্যবদ্ধ সংস্থা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।.

দীর্ঘ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ১৯৯০ সালে সামরিক স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও সময়ের আবর্তনে সে বিজয় ইতিমধ্যে প্রায় বিলিন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানিক স্বৈরাচারের জায়গায় এখন সাংবিধানিক গণতন্ত্রের মোড়কে কর্তৃত্ববাদ পাকাপোক্ত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে পরিবারতন্ত্র।ক্ষমতার অপরাজনীতির প্রশ্রয়ে সাম্প্রদায়িকতার শিকড় আরো গভীর হয়েছে। স্বৈরাচার ও ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার সৃষ্ট আইন- কানুন বদলের পাশাপাশি গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে আপোষহীন আদর্শিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা গণতন্ত্রকে টেকসই করার পুর্বশর্ত।আর এ কাজটা করতে পারে সকল দেশপ্রেমিক অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির রাজনৈতিক ঐক্য এবং ঐক্যমোর্চা। সমাজের প্রগতিশীল পরিবর্তনের শক্তি নির্ধারক পর্যায়ে উন্নীত করতে হলে বিদ্যমান কর্তৃত্ববাদকে পরাজিত করা ছাড়া সম্ভব নয়।তাই একটি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ঐক্য আজ সময়ের দাবি।।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত সিরাজুল আলম খানের রাজনীতির উত্তরাধিকার হিসাবে বাংলাদেশ জাসদ তার সপ্নগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা আমাদের সপ্নের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মানে সফলতা আনতে পারবো।।

-আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ
সাবেক ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট