শ্যামনগরে দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।
রাকিবুল হাসান শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগীরা।
সোমবার (২১শে এপ্রিল) সকাল ১১ টায় হরিনগর বাজারের মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় পদ পদবীর অপব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। নিরীহ মানুষদের নাশকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী সহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে আবার তাদেরকে থানা থেকে ফাইনাল রিপোর্ট করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের নিকট থেকে অর্থ আদায় করে আবার তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট করিয়েছে। এলাকায় ব্যবসায়িকদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করেছে। চাঁদাবাজির ঘটনায় ভুক্তভোগী দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের- আবুল হোসেনের পুত্র মনিরুল ইসলাম ও হরিনগর গ্রামের নুরুল হক গাজীর ছেলে আকবর গাজী। সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলি ৫ নং আদালতে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে যাহা এখনো চলমান আছে। তত্কালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায়,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে এমপি কোটায় প্রাপ্ত পানি সংরক্ষণের জন্য সরকারি ট্যাংকি সরকার নির্ধারিত জামানাতের বাইরে কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে ট্যাংকি না দেওয়া। গৃহহীনদের ঘর দেওয়া নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে,শুধু সেখানেই সিমাবদ্ধ ১৮-২০ জনের নিকট থেকে ৪০/৫০হাজার টাকা হারে প্রায় ৮লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২৮ নং দক্ষিণ কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালীন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের আশ্বাসে সোমনাথ মিস্ত্রীর নিকট হইতে তিন লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে তাকে কোন চাকরি না দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছে। বন বিভাগের নিকটে অন্যায় ভাবে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারকতা প্রকাশ করলে বন বিভাগের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে। তার আত্মসাৎ তালিকা থেকে বাদ যায় নি মসজিদ ও মন্দিরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তার এমন অপকর্মে সাতক্ষীরা-০৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার সরকারি জড়িত ছিলেন বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবুল হোসেন গাজী , ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাসিদুর রহমান বাবু,বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজ্জাক সরদার। আরো উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক বিভাগ মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতি বাবলুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলের সমিতি সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি আজিবর রহমান, ব্যবসায়ী আকবর হোসেন, জেলে আব্দুর রউফ, শহীদ শেখ, সাইফুল শেখ, জলিল উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন(৫ই আগস্ট) এর পর এলাকা থেকে পরিবারসহ আত্মগোপনে থাকার পরও মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজের মাধ্যমে তাহার চাঁদাবাজি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সিরাজুল। সে কারণে সরেজমিনে তদন্ত-পূর্বক উক্ত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতি পূরনের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভুগী সহ মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলে বাউল ও ইউনিয়নবাসী।