পুদিনা আর চেরি টম্যাটো ফলবে একই টবে, একসঙ্গে!
বাড়তি জায়গার অভাব। তা হলে বরং একটি টবেই ফলিয়ে নিতে পারেন পুদিনা এবং চেরি টম্যাটো। কী ভাবে দু’টি গাছ একসঙ্গে বড় হবে?
দু’কামরার ফ্ল্যাট। একফালি বারান্দা। কিন্তু বাগানের শখ। স্বল্প জায়গা টবেই ভরে রয়েছে। বাড়তি জায়গার অভাব। তা হলে বরং একটি টবেই ফলিয়ে নিতে পারেন পুদিনা এবং চেরি টেম্যাটো। এর কিছু সুবিধা আছে। প্রথমে স্থানাভাবের সমস্যা দূর হবে। দ্বিতীয়ত, পুদিনার নিজস্ব গন্ধের জন্য চট করে পোকামাকড় ঘেঁষে না, যা চেরি টম্যাটো গাছের ক্ষতি করতে পারে।
টবের আকার: একই টবে, একই সঙ্গে দু’টি গাছ বড় করতে হলে টবটিও একটু বড় এবং গভীর হওয়া দরকার। ১৮-২০ ইঞ্চির টব এ জন্য ভাল। এতে দু’টি গাছই শিকড় ছড়ানোর জন্য জায়গা পাবে।
পানি নিষ্কাশন: পুদিনা এবং চেরি টম্যাটো দুই গাছেরই গোড়ায় জল জমলে সমস্যা। গাছের পাতা হলুদ হয়ে গাছ মরেও যেতে পারে। তাই টবের তলায় দুই থেকে তিনটি ছিদ্র থাকা জরুরি। মাটি দিয়ে ভরাট করার আগে ছোট ছোট পাথর ভরে দিন এতে। তা হলে টবের তলায় জল জমতে পারবে না।
মাটি: দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভাল। না পেলে বাগানের সাধারণ মাটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে তার সঙ্গে কোকোপিট, জৈব সার, নিমখোল মিশিয়ে নিন।
সূর্যের আলো: চেরি টম্যাটোর জন্য ৬ ঘণ্টা সূর্যালোক দরকার। তবে পুদিনা চড়া রোদে টানা রাখলে সমস্যা হতে পারে। তাই এমন কোনও জায়গায় রাখুন যাতে গাছ রোদের তাপ পেলেও সব সময় চড়া রোদ না লাগে।
চারা: সরাসরি নার্সারি থেকে গাছের চারা এনে বসিয়ে দিন। ভাল মানের চারা বাছাই জরুরি। শুরুতে এক-দু’দিন গাছ ছায়ায় রাখতে হবে। তবে সূর্যের তাপ যেন পায় দেখা দরকার।
ছাঁটাই: এই গাছটি ঝোপের মতো হয়ে যায়। প্রয়োজনমতো সেটি ছেঁটে দিতে হবে। পুদিনা গাছ চারপাশে থাকলেও টম্যাটো গাছটি বসান টবের মধ্যভাগে।
পানি: মাটির উপরিভাগে আঙুল দিয়ে দেখুন। মাটি ভিজে মনে হলে জল দেওয়ার দরকার নেই। তবে শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। আবহাওয়া, রোদের উপর নির্ভর করবে প্রতি দিন জল দিতে হবে, না দু’-তিন দিন অন্তর।
৩০-৫০ দিনে পুদিনা পাতা বড় হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পাতা তুলে গাছ না ছাঁটলে টম্যাটো গাছের বেড়ে উঠতে অসুবিধা হবে। যেহেতু দু’টি গাছ একই জায়গা থেকে পুষ্টি পাবে তাই মাসে এক বার জৈব সার প্রয়োগ করা দরকার।