মিঠাপুকুরে শ্বশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ হাসপাতালে
মিঠাপুকুর প্রতিনিধিঃ রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের খোদ্দ মহদীপুরে আয়শা সিদ্দিকা নামের এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে শ্বশুর কর্তৃক কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামী শ্বশুর-শ্বাশুড়ী মিলে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধূ ঐ নারীর সহিত বিগত প্রায় বছর তিনেক পূর্বে ইসলামি শরীয়া মতে মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের খোদ্দ মহদীপুরের আহম্মদ আলীর পুত্র মোঃ নুরুজ্জামানের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে প্রায় সময়ই গৃহবধূর শ্বশুর আহম্মদ আলী ভুক্তভোগী নারীকে অনৈতিক কাজের কুপ্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো।
মামলার এজাহার সূত্রে ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন আসামী ১। মোঃ আহম্মদ আলী (৫৫), পিতা-মৃতঃ তবারক আলী ২। মোঃ নুরনবী মিয়া (৩০), পিতা-মোঃ আহম্মদ আলী, ৩। মোছাঃ লিলিফা বেগম (৫০), স্বামী-মোঃ আহম্মদ আলী, সর্বসাং-খোদ্দ মহদীপুর, ০৬নং কাফ্রীখাল ইউনিয়ন, থানা-মিঠাপুকুর, জেলা-রংপুরগন নারীলোভী ও অত্যন্ত খারাপ স্বাভাবের লোক। ০১নং আসামী মোঃ আহম্মদ আলী কিছু দিন পূর্ব হইতে অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে কু-প্রস্তাব দেওয়াসহ উত্যক্ত করিয়া আসিতেছিল। আমি উক্ত আসামীর কথায় রাজী না হওয়ায় উক্ত আসামী আমার ক্ষতি করিবার জন্য সুযোগ খুজিতে থাকিত। এরই জের ধরিয়া ঘটনার দিন ইং ০১/০৪/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আসামীগনের বাড়ীতে সকল আসামীগন ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালজ করাসহ কিল-ঘুষি, ধস্তাধস্তিসহ মারপিট করিয়া আমার পিঠে, কাঁধে, বুকে-পাঁজরে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্নক ফুলা ও কালশিরা জখম করে। ঘটনার এক পর্যায়ে ০১নং আসামী মোঃ আহম্মদ আলী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়া আমার মাথার সামনের দিকে স্বজোরে ডাং মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত ফাঁটা জখম করে এবং আমাকে খুন করিবে মর্মে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। উক্ত ঘটনার স্বাক্ষী ১। মোঃ জাকির হোসেন (২৭), ২। মোঃ জিয়ারুল ইসলাম (২৪), উভয়ের পিতা-মোঃ ইদ্রিস আলী, সাং-বুজরুক সন্তোষপুর, ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন, ৩। মোঃ লোকমান হোসেন (৩৮), পিতা-মোঃ আঃ আজিজ, সাং-বুজরুক ঝালাই, ০৫নং বালারহাট ইউনিয়ন, থানা-মিঠাপুকুর, জেলা-রংপুরগনসহ আরো অনেকেই আছে। অতঃপর উক্ত স্বাক্ষীগন ঘটনাস্থলে আসিয়া মুর্মুর্ষ অবস্থায় অটোযোগে দ্রুত মিঠাপুকুর সরকারী হাসপাতালে আমাকে নিয়া আসিয়া ভর্তি করাইয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে আমি উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকিয়া আমার ভাই মোঃ জাকির হোসেন এর মাধ্যমে আমার এজাহার খানা অত্র থানায় দাখিল করিলাম। থানা তলব মতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার সনদ পত্র প্রদান করিবেন।
এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় যোগাযোগ করলে থানা কর্তৃপক্ষ বলেন এরকম কেনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।